তুষারে আচ্ছন্ন! মঙ্গলের গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের কাছে হার মানবে পৃথিবীর ক্যানিয়নও!

প্রকৃতির খামখেয়ালিপনা আর বিচিত্র রূপ আমাদের কল্পনার বাইরে। আর এরই এক অদ্ভুত সৃষ্টি হল ক্যানিয়ন। এত দিন পৃথিবীর নানা ক্যানিয়ন নিয়ে গর্ব ছিল আমাদের।
#নিউইয়র্ক: প্রকৃতির খামখেয়ালিপনা আর বিচিত্র রূপ আমাদের কল্পনার বাইরে। আর এরই এক অদ্ভুত সৃষ্টি হল ক্যানিয়ন। এত দিন পৃথিবীর নানা ক্যানিয়ন নিয়ে গর্ব ছিল আমাদের। তবে মঙ্গল গ্রহের এই ছবিটি দেখলে বাকরুদ্ধ হওয়া স্বাভাবিক। কারণ পৃথিবীর থেকেও অনেক বড় গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন রয়েছে মঙ্গল গ্রহে। ভ্যালিস মেরিনেরিস (Valles Marineris)। মঙ্গলের সুবিস্তৃত এই গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন লম্বায় ২৫০০ মাইল অর্থাৎ ৪০০০ কিলোমিটারের আশেপাশে। তথ্য বলছে এটি ২০০ কিলোমিটার চওড়া এবং প্রায় ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত গভীর। মহাকাশ গবেষকদের মতে, সৌরজগতের সর্ববৃহৎ ক্যানিয়ন এটি। ৪০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ক্যানিয়ন মঙ্গলের এক চতুর্থাংশ জায়গা নিয়ে রয়েছে। যা পৃথিবীর ক্যানিয়নের থেকে ১০ গুণ বড়। NASA-র তরফে সম্প্রতি এই ক্যানিয়নের ছবি শেয়ার করা হয়েছে। এক্ষেত্রে NASA-র হাই রেজোলিউশন ইমেজিং সায়েন্স এক্সপেরিমেন্ট তথা Hi RISE ডিভাইজে উঠে এসেছে ক্যানিয়নের ছবি। উল্লেখ্য, ২০০৬ সাল থেকে মঙ্গলকে প্রদক্ষিণরত মার্স রেকোনেসেন্স অর্বিটারের উপর লাগানো রয়েছে এই শক্তিশালী ক্যামেরা ডিভাইজ। আর এখানেই ধরা পড়েছে ক্যানিয়নের ছবিটি।
ন্যাশনাল অ্যারোনটিকস অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (NASA)-এর মতে, এই ভ্যালিস মেরিনেরিস-এর সৃষ্টি রহস্য এখনও অজানা। তবে এ নিয়ে একাধিক পরীক্ষা চলছে। বেশ কয়েকটি গবেষণা ভিন্ন ভিন্ন তথ্যও তুলে ধরেছে। সেই অনুযায়ী, এই ক্যানিয়ন সৃষ্টির পিছনে একাধিক কারণকে দায়ী করা হয়েছে। এক গবেষণা জানাচ্ছে, বহু বছর আগে গ্রহটি যখন একটি অগ্নিপিণ্ড থেকে ঠাণ্ডা হয়ে নিজের আকার ধারণ করছিল, তখন ম্যাগমা বা আগ্নেয়গিরির কিছু অংশ নিচের দিকে চাপা পড়ে যায়। আর নানা ভৌগোলিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে ক্যানিয়নের আকার ধারণ করে। নিশ্চিত ভাবে ওই ম্যাগমা বেরিয়ে আসতে চেয়েছিল। আর এখান থেকেই জন্ম নেয় মঙ্গল গ্রহের এই ক্যানিয়ন। এক্ষেত্রে বাইরের নানা ভৌগোলিক পরিবর্তন, ভূমি ধস, ভূমি ক্ষয় বা তীব্র জলপ্রবাহের জেরে ধীরে ধীরে আকার পেতে থাকে ক্যানিয়নটি। ESA-এর মহাকাশযানও একই তথ্য দিচ্ছে। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ESA)-এর মতে, মঙ্গলের ভলক্যানো তথা আগ্নেয়গিরি অলিম্পাস মনস-এর (Olympus Mons) সঙ্গে এই ভ্যালিস মেরিনেরিস গঠনের সম্পর্ক থাকতে পারে। ক্যানিয়নটির ভূখণ্ডেও আগ্নেয়গিরির প্রমাণ মেলে। <!– bharat matronay static ads start
/1039154/Bengali_News18/Bengali_News18_ImpressionsTrackers/Bengali_News18_ImpressionsTrackers_BharatMatrimony
googletag.cmd.push(function() { googletag.display(‘div-gpt-ad-1542776695569-0’); });
googletag.cmd.push(function() { googletag.defineSlot(‘/1039154/Bengali_News18/Bengali_News18_ImpressionsTrackers/Bengali_News18_ImpressionsTrackers_BharatMatrimony’, [1, 1], ‘div-gpt-ad-1542776695569-0’).addService(googletag.pubads()); googletag.enableServices(); });
bharat matronay static ads end –>
<!–
–>